নিজস্ব প্রতিনিধি:
চকবাজার ও বাকলিয়া থানার ওসির পর এবার বদলি হলো পতেঙ্গা ও হালিশহরের ওসিকে। রোববার পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি ড. মঈনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
হালিশহরের ওসি রফিকুল ইসলাম ও পতেঙ্গার ওসি জোবায়ের সৈয়দকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।
আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে তারা সিএমপি না ছাড়লে ১৮ আগস্ট থেকে তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে রফিকের বাড়ি রাউজান ও জোবাইয়েরর বাড়ি চন্দনাইশে।
গত ৭ আগস্টও চকবাজারের ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ও বাকলিয়ার ওসি রহুল আমীনকে চট্টগ্রাম ছাড়তে হয়। তারা দুজনই চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটির বাসিন্দা।
এর দুই দিন আগে সিএমপির বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত পরিদর্শক পদমর্যাদার ১০ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়। এছাড়া মে মাসের শেষ দিকে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার ১১ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছিল।
সম্প্রতি বদলি হওয়া এই ২৫ কর্মকর্তার সবার বাড়ি চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলায়। তারা শুধুমাত্র বৃহত্তর চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলেই এই বদলির শিকার হচ্ছেন।
অথচ পুলিশি আইনে নিজ জেলা পুলিশে ছাড়া মেট্রো এলাকায় চাকরি করতে কোন বাধা নেই। কিন্তু সিএমপি থেকে গণহারে বদলি করা হচ্ছে চট্টগ্রামের বাসিন্দা কর্মকর্তাদের। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে। শুধু কর্মকর্তাদের বদলি নয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিএমপির ৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করে আর্মস পুলিশ ব্যাটেলিয়নে (এপিবিএন) পাঠানো হয়, যাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়।
জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষ দিকে সিএমপিতে কর্মরত চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। পরে ১৩ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলির একটি আদেশ আসে, যাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এ নিয়ে বদলি আতঙ্ক তৈরি হলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। তারপর সমালোচনার মুখে কিছুদিন বদলি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু গত একবছর ধরে আবারও বদলির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।যদিও সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এসব বদলির আদেশকে স্বাভাবিক বদলির অংশ বলে মন্তব্য করেছেন।