আবদুল কাইয়ুম: চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট পাখির বাজার থেকে খাঁচাবন্দি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ আগষ্ট) অভিযান চালিয়ে প্রাণীগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। উদ্ধার হওয়া প্রানীগুলোর মধ্যে ছিলো ৬ টি বন্য টিয়া,২ টি ময়না ও একটি শালিক পাখি।
এসময় বন্য প্রাণী উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রামের ‘হালিশহর এনিম্যাল ওয়েলফার সোসাইটি’র’ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি। সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি বলেন,চট্টগ্রামের দেওয়ানহাটে সপ্তাহে দু দিন পাখির হাট বসে। বিদেশি রং বেরঙের পাখি,কবুতর ইত্যাদি বিক্রির উদ্দেশ্য হাটে আনা হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্কৃতি প্রায়শই বন্য পাখি নিয়ে আসে বিক্রির উদ্দেশ্য, যেমন- টিয়া,ময়না, তোতা,শালিক ও দেশি মুনিয়া পাখি সহ অন্যান্য অনেক বন্যপাখি প্রায়ই বিক্রি করতে দেখা যায়।
বিকেল ৩ ঘটিকায় দেওয়ানহাট দিয়ে যাওয়ার সময় হাটে দেশীয় বন্য পাখিকে খাঁচায় বিক্রি করতে দেখে বন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটকে বিষয়টি অবহিত করলে সেখানকার পরিচালক জহির আকন দ্রুত সাড়া দেন এবং বিষয়টি চট্টগ্রাম শহরের বন বিভাগ কে অবহিত করলে দ্রুত তারা ছুটে আসে এবং বিক্রয় করতে নিয়ে আসা বন্যপাখিগুলো উদ্ধার করে পরে অবমুক্ত করা হয়৷
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির আকন বলেন, বন্য পাখি কেনাবেচা ও পোষা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ‘টিয়া, ময়না, ইগল, মুনিয়া, শালিক ইত্যাদি বন্য পাখি কেনাবেচা ও পোষা দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকেই না জেনে শখ করে এগুলো পোষার জন্য বাসায় রাখে। এসব পাখি ক্রয়-বিক্রয় ও বাসায় বন্দি করে রাখলে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।’ প্রকৃতিতে বন্য পাখির সংখ্যা দিন দন নগণ্য হচ্ছে যা আমাদের পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আমাদের এসব বন্য পাখি সংরক্ষণে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।