নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর হালিশহরে তন্ত্রমন্ত্রে জিন হাজির করে সমস্যা সমাধানের নামে নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ও অর্থ হাতানোর অভিযোগে তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (২০ এপ্রিল) হালিশহর থানার বৌবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ভুয়া তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম হোসেন (৪২) হালিশহর থানার মধ্যম রামপুর এলাকার মৃত মৌলভী এরশাদ হোসেনের ছেলে।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, হালিশহর এলাকার বাসিন্দা মো. ফারহাদুল ইসলাম (১৯) দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্তে ভুগছিলেন। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করানোর পরও সুফল পাননি। এক প্রতিবেশী তার স্বজনদের জানান, ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপকার পাওয়া যাবে। প্রতিবেশীর কথায় স্বজনরা ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানায় এই রোগের কবিরাজি চিকিৎসা আছে। এছাড়া ফারহাদুলের ভাগ্যে মূল্যবান গুপ্তধন আছে। ইব্রাহিম তা উদ্ধার করে দেবে। এজন্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে এবং কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে। তার কথা বিশ্বাস করে দুই লাখ টাকা দেন স্বজনরা।
কিছুদিন পর জানায়, গুপ্তধন উদ্ধারে আরও টাকা লাগবে। এভাবে ওই পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ইব্রাহিম। এরপরও গুপ্তধন না দেওয়ায় মঙ্গলবার তার কাছে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা ফেরত চায় ফারহাদুলের পরিবার। তখন ইব্রাহিম তাদের বেঁধে রাখার জন্য লোকজন ডাকে। সেই সঙ্গে আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এর পর র্যাবকে বিষয়টি জানান তার স্বজনরা। খবর পেয়ে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নুরুল আবছার আরও বলেন, ‘ইব্রাহিম জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ভুয়া কবিরাজ। তাবিজ ও পানি পড়াসহ বিভিন্ন কৌশলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে সমস্যা সমাধানের কথা বলে অসহায় নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আসলে তন্ত্রমন্ত্র ও কবিরাজির কিছুই জানে না ইব্রাহিম।
পরে তাকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।