নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করে ৫ মাস ধরে আত্মগোপনে থাকা এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। পাবজি ও পর্নোগ্রাফিতে আসক্তির জেরে সে এত মাস ধরে নিজের মা-বাবার কাছ থেকে আত্ম গোপন করে ছিল বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার সময় চান্দঁগাও থানা মোড় এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ কিশোর নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকার গনি কলোনী এলাকায় থাকেন।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ এক সংবাদ সম্মেলনের বলেন, ফেসবুকে প্রাপ্ত বয়স্কদের একটা গ্রুপের সাথে যোগাযোগ ছিল ওই কিশোরের। এই গ্রুপের প্রধান মামলার তিন আসামি হান্নান, লিও দাস, ও জয় নাম বলে।
তিনি আরও বলেন, গ্রুপের সদস্যরা পরস্পর সাথে এডাল্ট ভিডিও শেয়ার করত। এইসবে পাবজি খেলার পাশাপাশি পর্নোগ্রফিতে আসক্ত হয়ে পরে। সে গোপনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক একাউন্টসহ ও বেনামি ৫/৬ টি সিম ব্যবহার করত। তার হদিস কেউ যেন না পায় এজন্য সে তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও ঘরে রেখে গেছে।
র্যাব-৭ জানায়, গত বছরের নভেম্বরে ১০ তারিখ দুপুর ২টার দিকে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাসায় মোবাইল ফেলে আত্মগোপনে চলে যায় কিশোর। দীর্ঘ সময় মোবাইল নিয়ে পাবজি গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তার বাবা মা তাকে শাসন করতো। একপর্যায়ে বাবা মার কাছ থেকে ‘তোমার রোজগার তুমি করে খাও’—এমন কথা শোনার পর ওই কিশোর কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
নিখোঁজ হওয়ার পর আত্বীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর চকবাজার থানায় তার মা বাদী হয়ে জিডি করেন।
এরপরও তার কোন খোঁজ না পেয়ে ২৬ মার্চ ৩ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে চকবাজার থানার মামলা ও জিডির কপিসহ র্যাবকে জানানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করলে শুক্রবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১০টায় চান্দঁগাও থানা মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ কিশোরের বরাতে র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জানিয়েছে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নাম বদলে অলংকার মোড়ের একটি রেষ্টুরেন্টে চাকরি নেয়। এক মাস পর রেষ্টুরেন্টের কর্মচারীর সঙ্গে রাগারাগি করে সেখান থেকেও চলে আসে। পরে চান্দগাঁও নতুন থানার মোড় নিউ চান্দগাঁও রেষ্ট হাউজে কাজ শুরু করে।