শোক দিবসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৫ আগস্ট রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব, আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সঞ্জয় প্রসাদ দাশ, বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জাবেদ, বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত¡াবধায়ক ডা. এস.এম নুরুল করিম, স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. কমরুল আযাদ ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান প্রমূখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ফেয়ারী হিল জামে মসজিদের খতিব মুফতি মৌলানা বখতিয়ার উদ্দিন।

আলোচনা সভার পূর্বে জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় চর্ম ও সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়, সরকারী মেডিকেল সাব ডিপো ও সরকারী গাড়ি চালক সমিতিসহ অন্যান্যরা।


সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানার কোন শেষ নেই। তিনি অত্যন্ত দুরদর্শী নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা এ তিনটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে ব্যক্তি আজীবন দেশের স্বাধীনতা ও এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে তাঁেকই সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে