নগর প্রতিবেদক :
প্রাচ্যের রানি চট্টগ্রাম একসময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছিল। কিন্তু অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে আমরা সেই ঐতিহ্য অনেকটা হারিয়েছি। উন্মুক্ত জায়গা, খেলার মাঠ নেই বললেই চলে। একটি মাত্র উন্মুক্ত স্থান সিআরবি, যেখানে মানুষ প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারে, সেটিও ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। সুস্থ ধারার প্রগতিশীল আপামর মানুষের চেতনাকে উপেক্ষা করে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। চট্টগ্রামের স্বার্থেই সিআরবিকে রক্ষা করতে হবে। সিআরবি রক্ষার আন্দোলন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, চট্টগ্রামকে বাঁচানোর জন্যই এই আন্দোলন।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে সিআরবি রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিধন্য এই সিআরবি। ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে বহু মানুষ শহীদ হয়েছেন এখানে। এছাড়া সিআরবি এলাকায় সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে উঠেছে। এখানে বর্ষ বরণ, বসন্ত উৎসব, রবীন্দ্র জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তীসহ বছরব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক উৎসব হয়। মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে, একটু প্রশান্তি পেতে এখানে ছুটে আসে।
চট্টগ্রামের এই হৃৎপিন্ড ধ্বংস হতে দিতে পারি না। সিআরবি এলাকাকে কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত। এটি মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত গেজটভুক্ত। সিআরবি’র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরিবর্তন করে সাংবিধানিক আইন লংঘন করা যাবে না।
ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে সিআরবি সংরক্ষণের সুপারিশ রয়েছে। সিআরবি’র প্রকৃতি নষ্ট করার অধিকার কারো নেই।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল,কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস,কবি হোসাইন কবির,সাংবাদিক নেতা কাজী মহসিন। ন্যাপ নেতা মিঠুন দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির যুগ সম্পাদক মাইন উদ্দিন কোহেল,কবি আবু মুছা চৌধুরী, ঋত্বিক নয়ন,নারী নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু,আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমেদ, মোরশেদ আলম,সৈয়দ নাফিজ উদ্দিন, লেখক দিলরুবা খানম, মোহাম্মদ হাসনাত চৌধুরী,কবি মিনু মিত্র, আবৃত্তি শিল্পী বিপ্লব কুমার সেন,তাপস দে, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুর করিম, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাইমুন উদ্দিন মামুন, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, অনির্বাণ দত্ত, নুরুল আজিম, যুবরাজ দাশ প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগ নেতা হুমায়ুন কবির মাসুদ।