সিআরবিতে হাসপাতাল না হওয়ার দাবিতে চট্টগ্রামের আমজনতা আজ ঐক্যবদ্ধ। এর মাঝেও কিছু ষড়যন্ত্রকারী কূটচাল চেলেই যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা-ই বলতে চাই, সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। নয়তো মানুষ আপনাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত করবে।
বৃহস্পতিবার ২৬ আগস্ট সিআরবিতে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবিক এবং পরিবেশ বান্ধব। তাঁকে ভুল বুঝিয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল, যারা তিলে তিলে সিআরবিকে ধ্বংস করে দিতে চায়। এর আগে তারা ধ্বংস করেছে বিজয় মেলা আয়োজনের স্থান আউটার স্টেডিয়াম, সংস্কৃতির তীর্থস্থান ডিসি হিল, এমনকি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ প্রকল্প বাতিল ঘোষণা না করা পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা।
সিআরবি রক্ষার আন্দোলন প্রসঙ্গে বক্তাগণ বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকলে চট্টগ্রামবাসী দাঁড়িয়ে পড়ে ঘুরে। বুক চিতিয়ে লড়াই করে ছিনিয়ে আনে বিজয়। শ্রমে ঘামে রক্তে ভেজা সে ইতিহাস রচনায় থাকে দায়বদ্ধতা, থাকে গভীর মমত্ববোধ। যখনই অস্তিত্বের সুতোয় টান পড়ে তখন নিজেরাই নিজেদের অধিকার আদায়ে নেমে পড়ে রাজপথে। দাবি আদায়ে জান বাজি রেখে লড়ে যায় শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত।
প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, শ্রমিক নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন, কবি মিনু মিত্র, লায়ন ডা. আর কে রুবেল, ছাত্র নেতা মায়মুন উদ্দীন মামুন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা মোহম্মদ ইউনুস, সাবেক ছাত্র নেতা মো. শাহজাহান চৌধুরী, হাসনাত চেওধুরী, হুমায়ুন কবীর মাসুদ, এম শাহাদাত নবী খোকা, ছাত্র নেতা মাহমুদুল করিম, আবৃত্তি মিল্পী বিপ্লব শীল প্রমুখ।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন, শিল্পী সৈয়দ মানিক ও নারায়ণ দাশ। তবলা সঙ্গত করেন মিল্পী রিপন দাম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পী কবি আবু মুসা চৌধুরী, স্বপন মজুমদার, রাহুল ঘোষ দস্তিদার, তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মো. নিজাম উদ্দিন ও অনুকা গুহ। অনুষ্ঠানে সিআরবি হেরিটেজ রক্ষায় কালধারা পরিষদ নিবেদিত প্রতিবাদী ছড়ার দ্বিতীয় সংকলনটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।