নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর দুস্থ, অসহায়, অস্বচ্ছল, হিজড়া, বেদে, ছিন্নমূল, সেলুন কর্মচারী, বাস্তুহারা, হতদরিদ্র ও শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসহায় ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-৭ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন ও ২ লিটার সয়াবিন তেল।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ মাসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরওয়ার কামাল দুলু, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রায়হান দোলন, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ।
রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও মানবিক স্বেচ্ছাসেবক টিম উপহার সামগ্রী বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন।
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রতি বছর রমজানে সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধতন কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি বৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ইফতার পার্টির আয়োজন করে থাকেন। এ বছর ইফতার পার্টি আয়োজন করার কথা থাকলেও সেটি না করে ইফতার পার্টির জন্য বরাদ্দকৃত টাকায় ৩ হাজার দুস্থ, অসহায়, অস্বচ্ছল, হিজড়া, বেদে, ছিন্নমূল, সেলুন কর্মচারী, বাস্তুহারা, হতদরিদ্র ও শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসহায় মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সমাজের অসহায় মানুষকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এটা জেলা প্রশাসনের একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর ইফতার পার্টির আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পবিত্র রমজানে প্রতিদিনই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইফতার পার্টির আয়োজন করছে। এসকল ইফতার পার্টির পরিবেশিত খাবারের সিংহভাগ অপচয় হচ্ছে এবং আয়োজনের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এই ধরনের জমকালো ইফতার পার্টি যথাসম্ভব পরিহার করে তিনি এই অর্থ অসহায় ও হত দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।