নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম চক্ষু চিকিৎসায় উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা নিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করেছে লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অনুমোদন লাভের পর মঙ্গলবার এই ইনস্টিটিউটের আনু্ষ্ঠানিক ঘোষনা দেন এর উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার ( ৬ডিসেম্বর) দুপুর চট্টগ্রাম লায়ন্স ফাউন্ডেশনের তাহের মেমোরিয়াল হলে এক সংবাদ সম্মেলনে লায়ন্স আই ইনস্টিটিউজ ও হাসপাতালে বিস্তারিত তুলে ধরেন চট্টগ্রাম লায়ন ফাইন্ডেশনের চেয়ারম্যান আই লায়ন নাসির উদ্দীন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বিভাগে অন্ধত্ব বিমোচন, দূরীকরণ ও চক্ষুরোগের চিকিৎসা কার্যক্রমকে আরো আধুনিক উন্নত ও প্রসারিত করতে ২০১৭ সালে কার্যক্রম হাতে নেয় লায়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালকে একটি রিজিওনাল সেন্টার অব এক্সেলেন্স মানে উত্তীর্ণ করার জন্য এই ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। যুক্ত হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল। চালু করা হয়েছে বিশেষায়িত চোখের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অনুমোদন লাভের পর চট্টগ্রাম লায়ন্স আই ইনস্টিটিউট ও হসপিটাল পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করেছে।
এই ইনস্টিটিউটে মিডলেভেল, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট, সাবস্পেশালিটি সহ বিভিন্ন কোর্স চালু করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই লায়ন্স আই ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মেধাবীরা স্বল্প অর্থে প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ দিবে লায়ন্স ফাউন্ডেশন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – দৈনিক আজাদীর সম্পাদক লায়ন এম এ মালেক, লায়ন কামরুন মালেক, লায়ন কহিনুর কামাল, লায়ন নাজমুল হক চৌধুরী, লায়ন সিরাজ হক আনসারী, লায়ন ড. দেবাশীষ দত্ত প্রমুখ।