চিকিৎসা ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে তৈরি টিকা বঙ্গভ্যাক্স শতভাগ কার্যকর দাবি করেছে এর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। তাদের দাবি, বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টাসহ মোট ১১ ভেরিয়েন্টের সবগুলোর ক্ষেত্রেই কার্যকর বঙ্গভ্যাক্স।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তথ্য জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত ১ আগস্ট থেকে বানরের ওপর বঙ্গভ্যাক্সের এনিমেল ট্রায়াল শুরু হয়, যা শেষ হচ্ছে আগামী ২১ অক্টোবর অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার।
টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এ টিকার কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। এরপর আগামী সপ্তাহের দিকে ট্রায়ালের বিস্তারিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কাছে হস্তান্তর হতে পারে।
ড. মহিউদ্দিন জানান, ডেল্টাসহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ১১টি ভ্যারিয়েন্টের সিকোয়েন্স অ্যানালাইসিস করে টিকার সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখেছি। এতে দেখা গেছে, প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর। যার প্রমাণ মিলেছে বানরের শরীরে পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। প্রাথমিক ফলাফলে আমাদের টিকা বানরের শরীরে নিরাপদ এবং কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি নিজেদের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির জন্য বিএমআরসির কাছে আবেদন করে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক। গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আবেদন করে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
এটি বিএমআরসি অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে তারা। পরে গত ১৬ জুন শর্ত সাপেক্ষে গ্লোব বায়োটেকের করোনা টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’-এর ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।