ডেস্ক রিপোর্ট:
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, “আমরা একেবারে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ঘোড়াশালে গ্রিড বা বিদ্যুৎ সরবরাহের কোন একটি লাইন ট্রিপ করেছে। সেই লাইনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য লাইন ওভারলোড হয়ে সেটা ট্রিপ করেছে। এর ফলে পূর্বাঞ্চলের গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বল্পতা দেখা দেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমেই সারাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়ে থাকে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যমুনা সেতুর পূর্ব পাশের ন্যাশনাল গ্রিডে দুপুর ২টা পাঁচ মিনিটে বিপর্যয় হয়েছে। এর ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় একটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। একটা পর্যায়ে পুরো দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।
তিনি জানান, কোন গ্রিডে এবং কেন এই সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা এখনো তারা বুঝতে পারছেন না। তবে তারা সেটি সমাধানের চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ সহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে বলে আভাস দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩ মে আকস্মিক গ্রিড বিপর্যয়ের পর উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ৩২টি জেলা কয়েক ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।তার আগে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল।
তখন বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে বলা হয়, ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে সংযোগস্থলে ওই ত্রুটি থেকেই বিভ্রাটের শুরু।
জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জাতীয় গ্রিডে কি কারণে এই বিপর্যয় তা জানার জন্য দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।তিনি বলেন, এরমধ্যে ময়মনসিংহ অঞ্চলে এবং ঢাকার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়েছে। অন্য এলাকায় সরবরাহ চালু করার জন্য চেষ্টা চলছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।