নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি স্কুলগুলোও দ্রুত খুলে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এর আগে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনতে বলেছেন তিনি।
বুধবার (১৮ আগস্ট) সচিব সভায় (ভার্চ্যুয়াল) প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় ১৭ জন সচিব বক্তব্য দেন।
সভার পর বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সভার বিষয়বস্তু ও আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা খোলার নির্দেশনা দিয়ে সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া দরকার এবং সেটা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বলে না, আমাদের স্কুলগুলোও খোলা। এটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে তাদেরও যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। সেই দিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। ’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৮ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকার আওতায় আনতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগ পর্যন্ত অনলাইন ও অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে হবে।’স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় দ্রুত সময়ে স্কুলগুলোও খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কারণ, শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।তারা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
সভায় সচিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে, গাড়ি দেওয়া হয়েছে। আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। এখন দেশের জন্য আপনাদের দেওয়ার পালা। দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স আনতে হবে। কোনভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।সচিব সভায় স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) চ্যালেঞ্জ, ডেল্টা প্ল্যান, সবার জন্য টিকা নিশ্চিতকরণ, খাদ্য নিশ্চিতে গবেষণা, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয়।, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নিয়েও সভায় আলোচনা হয়।প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়নে সচিবদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড-১৯ ও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়েও সচিব সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।