চন্দনাইশ প্রতিবেদক :
চন্দনাইশে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে গ্রেফতারকৃত সুজনের দেওয়া তথ্য মতে একইদিন বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রামের লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাঈনউদ্দিন সাঞ্জু (৩৯) নামে এক সহযোগীকে ১টি বিদেশি পিস্তল, রিভলবার ও ১৩ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাশকতা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার সাথে যুক্ত বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত ৩০ জুন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের একটি সভায় ছাত্রলীগের পদ পাওয়া ও পদবঞ্চিতদের সংঘর্ষ হয়। সেদিন মহাসড়কে দাঁড়িয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গুলি ছোঁড়ার তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ছাত্রলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কেও। মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ভিডিওটি ওই সময়ের বলে স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে।
২ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথমে গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয় ১০ জনকে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে ছাত্রলীগ নেতা মো. আবুল ফয়সাল ২১ জনের নামে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।