প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহবুব আলম জানান, গ্রেপ্তার চারজন সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এরা চলমান এসএসসি পরীক্ষার কথিত প্রশ্ন বিক্রি করে আসছিল। তারা মূলত পরস্পর যোগসাজশে আগের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে সেগুলো কম্পিউটারে এডিট করে কিছু পরিবর্তন আনে। এরপর চলমান এসএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী তারিখ বসায়।এরপর সেগুলো ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকের কাছে সরবরাহ করে টাকার বিনিময়ে।
র্যাব কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, এরা সরাসরি প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পেরেছে এমন নয়। পুরনো প্রশ্নপত্র এবং সাজেশন মিলিয়ে তারা নিজেরাই ভূয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে সরবরাহ করে টাকা আদায় করেছে। দেখা গেছে, প্রশ্নপত্র ভূয়া হলেও অন্ত:ত ৩০ শতাংশ কমন এসেছে। এতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়েছে। অন্ত:ত চারটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে তারা এই প্রতারণা করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ‘গুজবের’ মধ্যেই চক্রটিকে ধরতে অভিযানে নেমেছিল র্যাব ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ।উভয় সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার চারজন নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক-বর্তমান ছাত্র। চকবাজার কেন্দ্রিক কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে মূলহোতা আহমেদ রেজা খান রিজভী।
মূলত বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে সাজেশন সংগ্রহ করে এর ভিত্তিতে ভূয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করেছিল সে।‘প্রিন্স ধ্রুব’ নামে ফেসবুকে পেইজ খুলে প্রকাশ্যে প্রশ্নপত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল রিজভী। সেখানে তিনটি পারসোনাল বিকাশ নম্বর দেয়া ছিল।
৯ মে গণিত পরীক্ষার পর পেইজটি ডিঅ্যাক্টিভ করে দেয়া হয়। একইভাবে মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ করে দেয়।র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলে ভূয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বাকলিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।