ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশর উপকূলবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার সময় ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

বৃহস্পতিবার (১১মে) কোস্ট গার্ড থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোস্ট গার্ড জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার সময় ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে কোস্ট গার্ড বাহিনী।

প্রস্তুতি মোকাবেলার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের সব ঘাঁটি, জাহাজ, বোট, স্টেশন, আউটপোস্ট ও ডিজাস্টার রেসপন্স অ্যান্ড রেস্কিউ টিম প্রস্তুত করা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে উপকুলবর্তী মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে কোস্টগার্ড বাংলাদেশ (পূর্ব জোন)।

ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে জনসচেতনা তৈরিতে সতর্কবার্তা প্রচারণা করা হয় বৃহস্পতিবার বিকেলেও।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাসেল মিয়াঁ বলেন,সকল ঘাট থেকে সমুদ্রে যেন কোন নৌযান যেতে না পারে তার জন্য নিয়মিত মাইকিং এবং টহল দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও সকল মাছ ধরার নৌজান মালিক সমিতির সভাপতিসহ জেলেদের সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধি দেরকে অবগত করে তাদের সহযোগীতায় মাঝি-মাল্লাদের সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ বিষয়ে জানানো হচ্ছে, এবং উপকূলীয় জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।কোস্টগার্ডের স্টেশনসমূহকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলের মানুষদের আশ্রয় প্রদানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও দূর্যোগ পরবর্তী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে এবং গত ১০ মে সকালে লঘু চাপটি গভীর ওসৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোগা এ রুপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধিনস্থ চট্টগ্রাম সদর ঘাট, পতেঙ্গা ভাটিয়ারী, মহেসখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার, বাহারছড়া, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনসহ উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে মাইকিং এবং সতর্কবার্তা লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।