চন্দনাইশ প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গোলাগুলি ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে বিরোধের জেরে এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় একঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় চন্দনাইশ উপজেলার বাগিচারহাট এলাকায় মহাসড়কের পাশে মক্কা পেট্রোল পাম্পের পাশে অনুষ্ঠানস্থলে সংঘাতের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চন্দনাইশ পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর লোকমান হোসেন এবং নুরুল আমিন নামে আরও একজনসহ মোট চার’জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক জানান, ‘ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এরপর মহাসড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। আমরা দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়েছে। এরপর আমরা সবকিছু স্বাভাবিক করেছি।’সংঘাতে কারা জড়িত এ বিষয়ে পুলিশ এখনও কিছুই জানতে পারেনি বলে এসপি রশিদুল হক জানান।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বক্তব্য শেষ করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের পর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে আকস্মিক ফাঁকা গুলি শুরু হয়। এরপর সভামঞ্চ লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে একদল তরুণ-যুবক। এতে স্থানীয় নেতারা আর বক্তব্য দিতে না পেরে সভাস্থল ত্যাগ করে পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ওই কমিউনিটি সেন্টারেও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর সভা আহ্বানকারীরা মহাসড়কে এসে অবরোধ করেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে এবং মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি চন্দনাইশে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে দু’টি পক্ষ তৈরি হয়। পদবঞ্চিত পক্ষ হামলায় জড়িত বলে তাদের ধারণা।