ফেনী প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস ২০টি সোনার বার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশের সদস্যরা তার থেকে স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে যায়।
বিষয়টি লিখিতভাবে ওই ব্যবসায়ী পুলিশ সুপারকে জানালে অভিযুক্ত ডিবি কর্মকর্তাদের এসপি অফিসে ডেকে নিলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাদের শনাক্ত করেন। এরপর ডিবির এক পরিদর্শকসহ ৬ সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা ২০টি স্বর্ণের বার থেকে ১৫টি বার উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল আটক ৬ জনের বিরুদ্ধে ফেনী সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেছেন। ওই মামলায় এই ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ফেনী পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী জানান, রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে যাওয়ার সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস ফেনী ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশের সদস্যরা তার থেকে স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে যায়। পরে গোপাল দাস ফেনীর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার তাদেরকে শনাক্ত করে চারজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করে। পরবর্তীতে তার জবানবন্দিতে আরও দু’জনকে আটক করে। পুলিশ সুপার তাদের কাছ থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বাকি পাঁচটির ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে।
আটকৃতরা হলেন— ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানা।
এদিকে স্বর্ণের বারগুলো বৈধ অথবা অবৈধ কিনা সেটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।