নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিবেশী দেশ ভারতের ত্রিপুরায় জন্মেছিলেন রাকেশ শীল। বাপ-মা মারা যাওয়ার পর ১৯৯৭ সালে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রথমে নোয়াখালীতে আসেন। তারপর ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মধুগ্রামের ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম লিখান মৃত ফরিদ, নিজের নাম রাখেন মো. হোসেন (৩৫)।
পরে এসে কাজ নেন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরটিলা এলাকায় এক সেলুনে। সেলুনের কাজ ছেড়ে কাজ নেন গাড়ির হেলপারের। বিয়েও করেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে।
এক পর্যায়ে এসব পেশার পরিবর্তে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। বসবাস শুরু করেন সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে। আর মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেন চান্দগাঁওয়ে। এবার মাদক চালান নিয়ে ছয় সহযোগীসহ র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন রাকেশ শীল।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে ৬ সহযোগীসহ র্যাবের হাতে আটকের বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় আমাদের অভিযানে রাকেশের মাদক আস্তানা ধ্বংস হয়েছে। এবার রাকেশ নিজেই মাদক পরিবহন শুরু করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে চেক পোস্ট বসিয়ে মাদকবাহী দুটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
এসময় ছয় সহযোগীসহ রাকেশকে গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি আরও বলেন, রাকেশ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৭২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে রাকেশের নামে তিনটি মাদক মামলা রয়েছে।
রাকেশের সহযোগীরা হলো চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির রশিদের ছেলে আলী হোসেন খোরশেদ (২৭), সাতকানিয়ার মাহালিয়ার ফরিদুল আলমের ছেলে আমান উল্লাহ (২৬), হাটহাজারীর মধ্যম পাহাড়তলীর সিরাজের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৩৮), চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী আমবাগানের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুর জব্বার (৩৮), কক্সবাজারের চকরিয়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ নুরুল কাদের ভুট্টো (২৫) এবং একই এলাকার আহমদ কবিরের ছেলে মনির উদ্দিন (৩৫)।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ ফেনী জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে পরস্পর যোগসাজসে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ টাকা। তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।