নিজস্ব প্রতিবেদক :
১০ দিনের মধ্যেই ভারপ্রাপ্ত থেকে দায়মুক্ত করে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমির ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠক শেষে নতুন আমিরের নাম ঘোষণা করে হেফাজত। রাজধানীর খিলগাঁও মাদরাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস জানিয়েছেন, রাজধানীর খিলগাঁও মাদরাসায় খাস ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে হেফাজতের আমির নির্বাচিত করা হয়েছে। বৈঠকে কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্ত করা এবং কওমি মাদরাসা খুলে দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া জুনায়েদ বাবুনগরীর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে নুরুল ইসলাম জিহাদী, আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মিযানুর রহমান চৌধুরী, সাজেদুর রহমান, মুহিউদ্দীন রব্বানী, মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী ও আব্দুল আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।গত ১৯ আগস্ট হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা যান। ওইদিন রাতেই মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির ঘোষণা করা হয়।
সেই হিসেবে ১০ দিন পরই ভারমুক্ত হলেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সম্পর্কে সদ্য প্রয়াত জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা। তিনি হেফাজতের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি ১৯৩৪ সালে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসার মহাপরিচালক। তিনি ইসলামী ঐক্যজোট, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইআতুল উলয়া-লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এর আগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমির হাফেজ মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী মারা যান বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ১২ টায় চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল সিএসিআর এ। তাকে দাফন করার হয় সেদিন রাতেই। তবে তার আগেই ভারপ্রাপ্ত আমিরের নাম ঘোষণা করে সংগঠনটি। মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমির ঘোষণা করা হয়েছে সেদিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী নিজেই।
২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন মরহুম জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী।
রাত ১১টায় চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা এবং সেখানে তাঁকে দাফন করা হয়।