নগর প্রতিবেদক :
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ‘পুলিন দে একজন বড় মাপের নেতা শুধু নন, কিংবদন্তি অগ্নিপুরুষও ছিলেন তিনি।’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলো না, তখন তিনি রাজপথেই ছিলেন একক ভাবে। অধ্যাপক পুলিন দে শুধু আওয়ামী লীগের একজন সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্যই ছিলেন না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী একজন কর্মীবান্ধব জননেতাও ছিলেন তিনি।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে দারুল ফজল মার্কেটে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য পুলিন দে’র স্মরণসভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
এই স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী জহুর আহমদ, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল আহাদ, মো. আবু তাহের, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য এম এ জাফর, হাজী পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, হাজী বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী পুলিন দে’র স্মরণে বলেন, চিরকুমার পুলিন দে’কে রাজনীতির অধোগতি বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘আমরা রাজনীতি করেছি পকেটের পয়সা দিয়ে, ব্যাংকের টাকায় নয়।’ দলকে ভালোবাসে দলের জন্য সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি। কিন্তু কোনো কিছু পাওয়ার আশায় নয়। এসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারলে দেশকে ভালোবাসা যাবে।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিপুরুষ অধ্যাপক পুলিন দে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে পরবর্তী সময়ে আ.লীগের নেতাদের ম্যধ্যে সাহসী প্রেরণাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমৃত্যু ধারণ করে গেছেন। তিনি সাহসী যোদ্ধা শুধু নন, রাজপথের সব আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এই মহাপুরুষ।