বিএনপি আজ স্বপ্ন দেখে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসার : মাহবুব উল আলম হানিফ

নগর প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি আজ স্বপ্ন দেখে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসার। বিএনপির সেই সামর্থ্য নেই। কারণ, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। অতীতে লুটপাট-সন্ত্রাস ছাড়া তাদের কোনো অর্জন নেই। এ কারণে জনগণ তাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় চায় না।

তাই বিএনপির রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে।

শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ মোশাররফ হোসেন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে সরকারের উন্নয়নের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন তিনি। টিভি খুললেই বিএনপির এই নেতার শুধু লাগাতার মিথ্যাচার। একসময় রেমিট্যান্স ছিল ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার, এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। টেকসই উন্নয়ন ঘটছে। ২০১৩-১৫ সালে গাড়িতে পেট্রল দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে খালেদা ও তারেক জিয়ার নির্দেশে। তাঁদের সন্ত্রাসের কাছে মির্জা ফখরুল অসহায় হয়ে রয়েছেন। সন্ত্রাসী নেতার তাবেদারী না করে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্বীকার করার জন্য মির্জা ফখরুলের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।

বিএনপি নেত্রীর জন্মদিন নিয়ে হানিফ বলেন, শিক্ষার আলো নেই বলেই খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। তিনি এসএসসি পাস করেছেন তা কেউ বলতে পারবে না। কোনো রেকর্ডে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট ছিল না। জাতীয় শোক দিবসকে ব্যঙ্গ–বিদ্রুপ করার জন্য খালেদা জিয়া এটি করেছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, ‘কায়সার ভাই মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরের রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৫–পরবর্তী সময় তাঁর অবদান অপরিসীম। কখনো অহঙ্কার দেখিনি। কর্মীর প্রতি ভালোবাসা ছিল অগাধ। আজ নেতা হলে কেউ কেউ সামান্য সৌজন্যবোধ ভুলে যাই, সুন্দরী বালিকা এলে দাঁত কেলিয়ে সেলফি তুলি, কর্মীকে সালাম দিই না—এ বিপর্যয় কায়সার ভাইকে কখনো স্পর্শ করেনি।’

তিনি আরও বলেন, তিনি জিয়া বা এরশাদের মন্ত্রী হতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেননি।

দলের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাংসদ ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শে বাবা কাজ করেছেন, তা থেকে যেন বিচ্যুত না হই। এমন কোনো কাজ যেন না করি, যার জন্যে নেত্রী, বাবা ও অগ্রজদের সম্মানহানি ঘটে। দল ও জনগণের নিস্বার্থ সেবা করে যেতে চাই।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আতাউর রহমান খান কায়সার চাইলে দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হতে পারতেন। রাষ্ট্রের কাজ করেছেন। নিজের জন্য কোনো ব্যবসা পারমিট নেননি। উচ্চ রাজনৈতিক দর্শন ওনার ছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য, পুলিন দে, আতাউর রহমান খান কায়সার যে দল গঠন, প্রতিষ্ঠান গঠনের রাজনীতি করতেন, তা অনুসরণের সুযোগ পাইনি।’

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দলের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী প্রমুখ।