নগর প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সাংগঠনিক ‘শৃঙ্খলা’ মেনে চলতে কঠোর নির্দেশনা ও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শীর্ষ নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
পাশাপাশি ১২ অক্টোবর থেকে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সম্মেলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।রোববার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে এই বর্ধিত সভা।
প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১২ অক্টোবর থেকে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়:
সভাপতির বক্তব্যে নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা এবং সংহতি আমাদের সকলের অস্তিত্বকে বাঁচাবে। তাই বিরোধ-বিভেদ আমাদেরকে শুধরে ফেলে সামনের দিকে এগোতে হবে।“সামনে কঠিন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই দলের মধ্যে ছোটখাটো ভুলভ্রান্তিকে নিয়ে বড় কিছু ভাবার অবকাশ নেই।”
সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “সবার সহযোগে যে সিদ্ধান্ত হবে তা অবশ্যই মেনে নিতে হবে। এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা বা বিভেদ কখনও গ্রহণীয় হবে না। যারা দলে থেকে শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড করবেন তাদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।“যারা দায়িত্বে থেকে সংগঠনের কাজ নিয়ে অবহেলা করেন এবং বিভিন্ন রকম অজুহাত সৃষ্টি করে থাকেন, তারা দয়া করে পদ থেকে সরে দাঁড়ান।”
নগর কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “অন্যান্য জেলার চাইতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। নগর আওয়ামী লীগ স্থানীয় নেতৃত্বকে বেগবান করে যে পর্যায় এসেছে তা নেত্রীর আস্থাভাজন। সামনে জাতীয় নির্বাচন আসছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী হতে হবে।“বিশেষ করে মহানগর আওয়ামী লীগ নব উদ্যমে নতুন সদস্য ফর্মের মাধ্যমে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তাতে তৃলমূলে পরিচ্ছন্ন এবং ত্যাগী কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদেরকে চলতে হবে। এর বাইরে প্রথম শর্ত দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমরা দলীয় পদ পদবি নিয়ে যারা আছি তাদেরকে নিজ দায়িত্ব পালনে আরও সচেষ্ট হতে হবে। অনুপ্রবেশকারীরা দলে যেন ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।”
সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব গুছিয়ে নিয়ে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের সম্মেলন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সভায় নগর কমিটির অধীনে থাকা ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটির প্রতিনিধিরা সাংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, উপদেষ্টা শফর আলী ও শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, জহুর আহমেদ, জোবাইরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দিন ইকবাল, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, শহিদুল আলম প্রমুখ।