শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক:
২০২৩ সালের অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার চট্টগ্রামের ১২৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৯৯ হাজার ৬৭৩ জন। তার মধ্যে প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল মোট ১ হাজার ৬০৭ জন পরীক্ষার্থী।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
এর আগে রোববার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ১টায়। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম ছাড়াও কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়। সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৯ জন।
প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্রে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৯ জন। অনুপস্থিত ছিলো ১ হাজার ৬০৭ জন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানান, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শিক্ষাবোর্ড থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ছিল।
কর্ণফুলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ১৪ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। রোববার (৩০ এপ্রিল) এসএসসির বাংলা আবশ্যিক এবং দাখিলে কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষায় তারা উপস্থিত হননি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের শিক্ষা শাখায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র নাথ জানান, এবার কর্ণফুলী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এসএসসি ১হাজার ৬০১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন ১হাজার ৫৯১ শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিলেন ১০ জন।
একইভাবে দাখিলে ২৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন ২৭৩ জন শিক্ষার্থী। এখানে ৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসেননি।
এবার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্রে ১২ টি প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
এসএসসিতে ২টি কেন্দ্রে ৭টি বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬১০ জন শিক্ষার্থী, দাখিলে ১টি কেন্দ্রে ৫টি মাদ্রাসার ২৭৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো : মামুনুর রশীদ চৌধুরী। পরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।